top of page

অবিশ্বাসে বিচ্ছেদ।


অপূর্ণতার ঠাণ্ডায় কেঁপে উঠে বুক গভীর থেকে আরো গভীরে জানি, চোখের কিনারে টলমল লোনাজল, তাবৎ বিশ্বাসে আবেগী উষ্ণতা অথচ আমার ধৈর্য, সময় ছিল না। হাত গুটিয়ে নিয়েছি, কথা দিয়েছি একদিন ফিরে আসবো বলে।

মরা নদীটার ভাঙা সেতুটা জানে ভাটায় ভেসে যাওয়ার মানে স্মৃতির পাতা খুলে বড্ড অভিমানে।

এসেছি বৈরাগ্যকে সাজাবো বলে খুঁজে চলেছি অভিমানী ছয়তার উদাসী হাওয়ার আমার হাহাকার রায়ের করুণা চরণে অভিমান কালে।

ব্রহ্মপুত্র পাড় ঘেঁষে হেটেছে কত কবি হেটেছে সুকান্ত সিন্ধুকে পার করে, আয়ুকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র করে হেটেছে চিরতরে আমারো হাটা হয়তো সে অচেনা পথ ধরে তাবৎ বিশ্বাসে ভাঙা হিয়ায় লুকানো অস্তিত্ব ঘিরে।।

আমি আজ অভ্যাসের কাছ খুব ঋণী, চুপ করে থাকি,কখনো বলি, মিথ্যে স্বপ্নে ঘুরি যেথায় নদীর ধার ঘেঁসে জোড়া শালিকের গল্পে হারিয়ে যায় প্রেমিক-প্রেমিকারা নীল দিগন্তে, সেথায় আমার বৈরাগ্যের বোঝা ভারি হলে দেখি রায়ের চরণে নিঃশব্দ হাহাকার নিজের অজান্তে।

তোমার প্রতিটি বিশ্বাসের অচেনা সুরে হারিয়ে ফেলেছি তোমায় চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, তোমার এমন সুরে ছুঁয়েছে অচেনা কত কণ্ঠিমালা।

মধ্যরাতের সময়টা সুমন, অঞ্জন শুনে কাটাই কালের সমানুপাতে মিথ্যে হয় বিশ্বাসে দ্বীপজ্বালা।

তোমার চিরন্তনী বিশ্বাস আজ বিভীষিকাময়, পঁচা আবর্জনার বদ্ধ দুর্গন্ধ বিশ্বাসে মোর কম নয়, যেখানে মুখের কথাই প্রকৃত হয় মুক্তি কামনায় তবে কেন এই ফেরা মিথ্যে ছলনায়,বিদায়ী বেলায়।

এক অস্ফুট বিচ্ছেদ বেদনার প্রতিশ্রুতির সীমানায় এক শশ্মানের আত্মাভেদী নীরব নিঃশব্দ হাহুতাশ।

আমি বুঝি তোমার মুহুর্মুহু পরিবর্তিত সিদ্ধান্তে মানেবিচ্ছেদ, দুঃখের দীর্ঘ দালান নির্মাণ মুক্তির আকাঙ্খায়, বিশুদ্ধ ক্ষুধা, তৃষ্ণা, নীরবতা, কঙ্কাল আমার চাইবে তোমায় অভিমান স্তর ভেদ করে বিশ্বাসের কাছে হাত পেতে।

আমার সময় নেই, ধৈর্য বড় কম,আজ তবু আছি।। যেন ঠিক অপার্থিব এক ঈশ্বর বসে আছে তোমাতে মুখ করে, অনন্ত বিচ্ছেদ বুকে নিয়ে বিশ্বাসের বোঝা জমা দিয়ে যার কাছে ফিরবো বারে বারে চাপা দীর্ঘশ্বাসে!!!

bottom of page